এসব যানবাহন সংশ্লিষ্ট মালিক সমিতি ও শ্রমিক নেতারা বলছেন শুধু মাত্র ঈদকে টার্গেট করে প্রতি বছর রোজার শুরুতে নগরীতে কয়েক হাজার রিক্সা প্রবেশ করে। এবার এ সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার হবে। নগর ট্রাফিক বিভাগও স্বীকার করেছে বাড়তি রিক্সা তথা ভাড়ায় চালিত বিভিন্ন যানবাহন প্রবেশের বিষয়টি।
যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ বাড়তি জনবল চেয়েছে পুলিশ কমিশনারের কাছে। এছাড়া আগামী দু এক দিনের মধ্যেই নগরীর গুরুত্বপূর্ন সড়কে যান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে দেখা গেছে যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য।
বিশেষ করে ব্যাটারী ও প্যাডেল চালিত রিক্সার সংখ্যাই বেশী পরিলক্ষিত হয়েছে। মালেক নামের এক চালক বলেন তিনি বাউফলের কালাইয়া থেকে এসেছেন। নগরীতে এ বছরই নতুন। পরিচিত অপর চালককের মাধ্যমে এক মালিকের কাছ থেকে একটি ব্যাটরী চালিত রিক্সা ভাড়ায় নিয়েছেন। দৈনিক ৩০০ টাকা ভাড়া দিয়ে হাজার খানেক টাকা থাকে তার। তিনি বলেন চাঁদ রাত পর্যন্ত চালাবেন তিনি।
তাতে আল্লাহর ইচ্ছায় পরিবারের ঈদ খরচ হয়ে যাবে। গৌরনদী থেকে আসা ৫০ বছর বয়সী সোলায়মান বলেন, নিজের রিক্সা নিয়ে এসেছি। এর আগেও রোজায় নগরীতে রিক্সা চালাতে এসেছি। তাই নগরীর সকল রাস্তা ঘাট আমার পরিচিত। তিনি বলেন, আমি বারো মাস রিক্সা চালাই না। পারিবারিক কাজ করি। আর রিক্সা ভাড়া দেই। কিন্তু এই সময়ে গ্রামে তেমন কোন কাজ নেই।
তাই রিক্সা নিয়ে চলে এসেছি। এলাকায় বসে তো আর রিক্সা চালাতে পারি না। তাই পুরো রোজার মাসে থাকা খাওয়া বাদ দিয়ে হাজার বিশেক টাকা থেকে যায়। যা দিয়ে ঈদটা ভাল ভাবে কেটে যায়। বরিশাল জেলা সিএনজি,অটোরিক্সা,ইজি বাইক মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. দুলাল বলেন লাইসেন্স ছাড়া সিএনজি আসার কোন সুযোগ নেই।
তবে কিছু অটো রিক্সা বাড়লে রোজায় বেশী বাড়ে ব্যাটারী চালিত ও প্যাডেল চালিত রিক্সা। প্রতি বছরের চেয়ে এবার সংখ্যাটা বেশী মনে হচ্ছে। অটোরিক্সা চালক সমিতির কয়েক জন নেতা বলেন এবার নগরীতে যে পরিমান রিক্সা তথা ভাড়ায় চালিত যানবাহন প্রবেশ করেছে তার সংখ্যা হাজার পাচেকের কম হবে না। বরিশাল নগর ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র পরিদর্শক আবদুর রহিম বলেন, রোজায় বাড়ায় চালিত যানবাহনের সংখ্যা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
এটা প্রতি বছরের চিত্র। আমরা অবৈধ যানবাহনে একটুও ছাড় দিচ্ছি না। তিনি বলেন, মানবিক কারনে অনেক এই মাসে রিক্সা চালকদের একটু ছাড় দেই। কারন তাদেরও তো পরিবার আছে। সামনে ঈদ। তিনি আরো বলেন যানবাহন যাই হোক আমাদের দায়িত্ব নগরীতে যানবাহনের শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং মানুষ কে যতটা সম্ভব স্বস্তি দেওয়া।
সে লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। যেহেতু আমাদের জনবল কম, তাই বাড়তি ১৫ জন ফোর্স চেয়েছি। ১৫ রোজার পর তারা যুক্ত হবে। এছাড়া প্রতি বছরের মত নগরীর চক বাজার ফলপট্টি কাটপট্টিসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছি। যা আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই কার্যকর হবে।