ডেস্ক নিউজঃ মুজিবনগরে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এক ইউপি মেম্বরের দায়ের করা মানহানী মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মেহেরপুর সাংবাদিক সমাজ। টিসিবি পণ্য নিয়ে অনিয়মের ঘটনা পত্রিকায় তুলে ধরায় অভিযুক্ত ইউপি মেম্বরের রোষানলে পড়েছেন তিন সাংবাদিক। রবিবার এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেছেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন- যায়যায়দিন ও মাথাভাঙ্গা পত্রিকার মুজিবনগর প্রতিনিধি শফি উদ্দীন, দৈনিক খোলা কাগজ ও সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রতিনিধি সোহাগ মন্ডল ও জবাবদিহি পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি শাকিল রেজা।
মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক মন্টু, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আজম, মেহেরপুর রিপোটার্স ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল হক পোলেন, গাংনী প্রেসক্লাবের সভাপতি তৌহিদ উদ-দৌলা রেজা, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম, গাংনী উপজেলা প্রেস সভাপতি এমএ লিংকন ও মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্স এক বিবৃতিতে এই মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রæত তা প্রতাহারের দাবি জানান। তা নাহলে কঠোর আন্দোলনের কথাও বলেন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
প্রতিবাদে সাংবাদিকরা জানান, সাংবাদিকরা যখন কোন সত্য ঘটনা তুলে ধরেন, দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উম্মোচন করেন ঠিক সেই সময় সাংবাদিকদের হয়রানী করা হয়। যা ঘটেছে এই তিন সাংবাদিকের বেলায়। তাদের বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা মামলা এবং সত্য কণ্ঠকে ক্ষমতা দিয়ে চেপে রেখে অন্যায়ের রাম রাজত্ব কায়েমের শামিল। তাই দ্রæত মামলা প্রত্যাহার না হলে সাংবাদিক সমাজ তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুজিবনগরের পাঁচ সাংবাদিকদের নাম ভাঙিয়ে বাগোয়ান ইউপির মেম্বার রাকিব টিসিবি পণ্য উত্তোলন করেছিলেন।
বিষয়টি ঐ পাঁচ সাংবাদিকদেরকে জানান টিসিবি’র ডিলার রিপন আলী। এ নিয়ে ২৫ মার্চ ঢাকা থেকে প্রকাশিত জবাবদিহি, চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মাথাভাঙ্গা এবং দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি সদস্য রাকিব মেহেরপুর বিজ্ঞ সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ৫০০/৫০১ পেনাল কোডে মানহানীর মামলা দায়ের করেন তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। মামলাটি তদন্ত করতে কুষ্টিয়া পিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত।